ব্রিটিশ শাসনামলের আনুমানিক ১৯৪৩ সালে প্রথম হিন্দুরা এই গ্রামের শাসন করেছিল ।১৯৭১এর পরে মরহুম ফৌজল করিম সাহেব অধীনে বর্তমান চাতরী গ্রামে ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে চাতরী ইউনিয়ন গঠিত হয়। ঐ সময়ে ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান কে গ্রাম প্রেসিডেন্ট বলা হত। ১৯৫০ সালে পাকিস্তান শাসনামলে গ্রাম প্রেসিডেন্ট এর পদকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদবী ঘোষণা করা হয়। ১৯৭১ এ বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর পরবর্তী সময়ে মরহুম ফৌজল করিম সাহেব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে ০৯টি ছোট বড় গ্রাম মিলিয়েই চাতরী ইউনিয়ন পরিষদ।
পুর্বে আনোয়ারা থানা এর অধিকাংশ গ্রামেই হিন্দুদের আধিপত্য ছিল। হিন্দু পরিবারের মহাজনেরা ছিলেন আনোয়ারা থানা তথা চাতরী গ্রাম সহ প্রতিটি ইউনিয়নে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম তারাই ছিলেন। তবে ঐ সময়ে পায়ে হেটে কাঁদা পথে চাতরী মানুষ চলাচল করত । নৌকাই ছিল ইউনিয়ন একমাত্র যোগাযোগ স্থাপনকারী বাহন। আর গ্রামের প্রতিটি রাস্তার মরহুম ফৌজল করিম সাহেব অধীনে হয়েছিল । তিনি চাতরী গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দিরসহ গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা করে যান । তিনি চাতরী গ্রামের রুপকার । পরবর্তী চেয়ারম্যান সাহেব গন (এয়াকুব আলী, শামশুদ্দিন চৌঃ, শুক্কুর ) রাস্তাঘাটে কিছু উন্নয়ন সহ জনগনের জন্য নানা উন্নয়নমূলক কাজ করেন ।বতর্মান চেয়ারম্যান জনাব ইয়াছিন হিরু সাহেবের আমলে পুরো ০৮নং চাতরী ইউনিয়নের রাস্তা ঘাট উন্নয়ন থেকে শুরু গ্রামের প্রতিটি উন্নয়ন কাজ দ্রুত সম্পাদন করে চলছে যা আগের কোন চেয়ারম্যান সাহেবরা করতে পারেনি । তিনি জনগন কে সাথে নিয়ে সব কাজের অগ্রগতি পযার্লোচনা করেন । উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করেন । তাই তিনি জনগনের কাছে খুব প্রিয় চেয়ারম্যান ।
(তথ্যসূত্র: চাতরী ইউনিয়নের জনগনের এর বিবৃতি)
তথ্য সংগ্রহকারী মোঃ মহিউদ্দিন
পরিচালক,০৮নং চাতরী ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস